ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
Dhaka South City Corporation | ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (Dhaka South City Corporation, DSCC) বাংলাদেশের ঢাকা শহরের দক্ষিণ অংশের জনপ্রশাসন এবং শহর উন্নতির জন্য একটি স্থানীয় সরকারী সংগঠন। এটি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের একটি অংশ, যা ঢাকা মহানগর পরিষদের আওতায় আসে।
DSCC একটি উন্নত শহর এবং জনসংখ্যার জন্য সুবিধা সরবরাহ করতে দায়িত্বশীল। এটি নগরবাসীদের জনসংখ্যা, বাসিন্দা, শখা, স্বাস্থ্য, সাফাই, উন্নত পরিবহন সুবিধা, ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকারের প্রয়োজনীয় সুবিধা সরবরাহ করতে জরুরি হয়ে থাকে।
DSCC এর কিছু প্রধান কাজের মধ্যে:
মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নতি: শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, মানবাধিকার ও সমাজকল্যাণে কাজ করা।
নগরসঞ্চয়: শহরের বাণিজ্যিক এবং আবাসিক অঞ্চলের উন্নতি ও পরিচালনা।
জনসংখ্যা ও বাসিন্দা সম্পর্কিত কাজ: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, জনসংখ্যার মডেলিং ও প্রতিরক্ষা, বাসিন্দাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা সরবরাহ করা।
বাণিজ্যিক অঞ্চল উন্নতি: শহরের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক কর্মক্ষেত্র উন্নত করতে প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক সুবিধা সরবরাহ করা।
শহরের পরিবহন সুবিধা: উন্নত পরিবহন নেটওয়ার্ক ও যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এসব কাজের জন্য প্রযুক্তি, পরিচালনা এবং নগরবাসীদের সাথে সক্ষমভাবে যোগাযোগ করে থাকে।
ইতিহাস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের "নগর ভবন"
দক্ষিণ ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদীতীরে অবস্থিত প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী বন্দর নগরী, যা মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ১৬০৮ সালে ঢাকার রাজধানী হিসেবে স্থাপিত হয়। বাংলার সুবেদার ইসলাম খাঁ ঢাকার উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন এবং এই সময়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও অট্টালিকা উত্তীর্ণ হতে থাকে।
নগরবাসীদের কল্যাণে মোগল সুবেদারগণ চকবাজার থেকে সূত্রাপুরের লোহারপুল পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ইটের রাস্তা নির্মাণ, সৈয়দ আওলাদ হোসেন লেনের মসজিদ নির্মাণ এবং ইসলাম খান দ্বারা পুনঃনির্মাণ করা হয় ঢাকার বর্তমান কেন্দ্রীয় কারাগার যা একটি দূর্গ হিসেবে থাকে। এই সময়ে ঢাকা পৃথিবীর ১২তম অবস্থানে ছিল।
১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসনভার গ্রহণ করার পর ঢাকা নগরীর উন্নয়ন ব্যহত হয়। কোম্পানী নগরবাসীকে কোন সুযোগ সুবিধা না দিয়ে লুণ্ঠনে ব্যস্ত থাকে। এভাবেই কিছু সময় চরম অব্যবস্থাপনায় অতিবাহিত হয়। মোগল আমলে শহরের প্রশাসনিক কাজকর্ম যেমন: শান্তিরক্ষা, স্বাস্থ্যবিধি ও নৈতিক মানরক্ষাসহ বিভিন্ন দায়িত্ব ছিল সরকারের।
কিন্তু ১৭৭২ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর পুনর্বিন্যাসের ফলে ইউরোপীয় ম্যাজিস্ট্রেট জেমস ওল্ডহ্যামের নেতৃত্বে শহরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোনীত হন। ১৮১৩ সালে ম্যাজিস্ট্রেট জেমস ওল্ডহ্যামের অনুরোধে সরকার গঠন করা হয় এবং ১৮২৩ সালে নগর উন্নয়নে গঠন করা হয় কমিটি অব ইমপ্রুভমেন্ট। এই কমিটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কাজ করে এবং ১৮২৯ সালের নভেম্বরে কমিটি ভেঙ্গে যায়। পরবর্তিতে ১৮৪০ সালে সরকার ‘ঢাকা কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করেন যা ১৮৪০ থেকে ১৮৬৪ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এই কমিটির কোন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কাজের কথা জানা যায়নি।
অবশেষে, ১৮৬৪ সালের ১লা আগস্টে ঢাকা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি 'ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কমিটি' নামে গঠিত হয়, যা অগস্ট মাসে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কমিটি অ্যাক্ট এর আওতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৬৪ সালের পূর্ব পর্যন্ত মিউনিসিপ্যালিটির সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদাধিকার অভারণ্য ছিল। পদাধিকার বলে সভাপতি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান লেফট্যানেন্ট গভর্নর, ডিভিশনাল কমিশনার, ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী প্রকৌশলী, এবং সিভিল সার্জন। কমিশনারের সংখ্যা ১৪ থেকে ২৩ পর্যন্ত ছিল। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. স্কিনার পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষক জর্জ বিলার্ট ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান।
প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন আনন্দ চন্দ্র রায়চৌধুরী এবং ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন জনাব খান আব্দুল্লাহ। ১৮৮০ থেকে ১৯০১ সালের মধ্যে ঢাকার নবাব ও অন্যান্য ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহায়তায় ঢাকায় পানি ও বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করা হয়। এ সময়ে পৌরসভা বিশেষ অধিকার প্রদান করে এবং নবাবদের নিয়ন্ত্রিত পঞ্চায়েত প্রচলিত ছিল। মহল্লার পঞ্চায়েত প্রধান সমাজের বিত্তবানরা নির্বাচিত হতে সম্মত হতেন এবং তাদের প্রধান কাজ হত সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা। ১৯৩২ সালে ঢাকা পৌরসভার জন্য নতুন অ্যাক্ট প্রবর্তন করা হয়, যা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত চলমান ছিল।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টে, পাকিস্তানের অস্তিত্বের সাথে সাথে ঢাকা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী। এই সময়ে ঢাকার লোকসংখ্যা মাত্র ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ছিল। প্রাদেশিক রাজধানীর মর্যাদা পাওয়ার পর ঢাকার গুরুত্ব বাড়তে থাকলে, শহরের পুনঃবিন্যাস অপরিহার্য হয়ে পড়ে। ১৯৪৭ সালের শেষে, সরকার ঢাকা পৌরসভা বাতিল ঘোষণা করে। এরপর ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কোন নির্বাচন হওয়ার কারণে সরকার মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গই ঢাকা পৌরসভার কাজ পরিচালনা করতেন। ১৯৬০ সালে, সরকার মিউনিসিপ্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অর্ডিন্যান্স জারি করে।
এই অর্ডিন্যান্সে নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে মনোনয়নদানের আদেশ দেয়া হয়, তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদটি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকেই নির্বাচনের বিধি বহাল থাকে। ঢাকা পৌরসভা পূর্বে সাতটি ওয়ার্ডে বিভক্ত ছিল। পাকিস্তান আমলে ১৯৬০ সালে সরকার এই পৌরসভার ২৫টি ইউনিয়নকে ৩০টি ইউনিয়নে বিভক্ত করে এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের ঢাকা পৌরসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তিকে মনোনীত কমিশনার বা সদস্য করা হয়। ১৯৬১ সালে ঢাকার লোকসংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ১৪৩ জন।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর, দেশের স্বাধীনতা অর্জনের সাথে সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। ১৯৭৪ সালে ঢাকার লোকসংখ্যা ছিল ১৬ লক্ষ হাজার ৪৯৫ জন। এরপর ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, ঢাকা নগরীকে ৫০টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা পৌরসভা গঠন করা হয়। ১৯৭৮ সালে, ঢাকা পৌরসভাকে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়। পৌরসভার চেয়ারম্যান ঢাকা মিউিনিসিপ্যাল করর্পোরেশনের মেয়র নামে পরিচিতি পায়। এই সময়ে ৫০ জন নির্বাচিত কমিশনারসহ ৫ জন মনোনীত কমিশনার রাখার বিধান ছিল। ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত তৎকালীন মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮১ সালে ঢাকার লোকসংখ্যা ছিল ৩৪ লক্ষ ৪০ হাজার ১৪৭ জন। ১৯৮২ সালে মিরপুর এবং গুলশান পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করর্পোরেশনের আওতায় নিয়ে আসা হয় এবং ঢাকা নগরীকে মহানগরীতে রূপান্তরিত করা হয়। এর ফলে ওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬টি, আয়তন ও জনসংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৮৩ সালে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের দায়িত্বের পরিধি এবং ওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫টি।
১৯৯০ সালে, ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের নাম পরিবর্তন হয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন হয়েছিল এবং জনসেবার মান ও কার্যক্রম উন্নত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীকে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে বিভক্ত করা হয়। ১৯৯১ সালে, ঢাকার লোকসংখ্যা ছিল ৬৮ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৩১ জন। ১৯৯৪ সালে, ঢাকা সিটি করপোরেশন ৭৫টি ওয়ার্ড থেকে ৯০টি ওয়ার্ডে উন্নত হয় এবং প্রথম জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসেবে জনাব মোহাম্মদ হানিফ মেয়র নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ জন ওয়ার্ড কমিশনারও জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ জন নির্বাচিত ওয়ার্ড কমিশনার ছাড়াও ১৮ জন মনোনীত মহিলা কমিশনারের বিধান ছিল। ২০০১ সালে, সরকারি এক গেজেটে সংরক্ষিত আসনে মহিলা কমিশনারের সংখ্যা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৩০-এ উন্নীত করা হয়। তখন ঢাকার লোকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৭ লক্ষ ১২ হাজার ২০৬ জন। ২০০২ সালে, এমপি জনাব সাদেক হোসেন খোকা নগরবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত মেয়র হয়ন এবং ৩০টি মহিলা সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। বর্তমানে, ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ।
নগরবাসীর সেবা সহজলভ্য করার বৃহত্তর স্বার্থে ২০১১ সালের ৩০শে নভেম্বরে সরকার এক অধ্যাদেশে বলা হয় ঢাকা সিটি করপোরেশনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নামে দুইভাগে বিভক্ত করে দুইটি সেনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে। তবে, আইনি জটিলতার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। ২০১৫ সালের ২৮ মার্চে মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত জনাব মোহাম্মদ সাঈদ খোকন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ৬ মে ২০১৫ সালে নবনির্বাচিত মাননীয় মেয়র শপথ গ্রহণ করেন।
সেবাসমূহ
1. লালবাগ আগা নবাব দেউরী রাস্তার আলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
2. নয় নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন শহরের মৌলিক অবকাঠামো পরিচালনা ও প্রদানের জন্য কাজ করে।
3. অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
4. পানি পরিশোধন এবং সরবরাহ করা হয়।
5. দূষিত পানি ও নিকাশী শোধন এবং নিষ্পত্তি করা হয়।
6. জলাবদ্ধতা নিরসন করা হয়।
7. আবর্জনা অপসারণ এবং রাস্তার পরিচ্ছন্নতা করা হয়।
8. কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়।
9. হাসপাতাল ও ডিসপেনসারি ব্যাবস্থা করা হয়।
10. রাস্তা-ঘাট নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
11. রাস্তার বৈদ্যুতিক লাইট স্থাপন করা হয়।
12. রাস্তার গাড়ি পার্কিং স্থাপন করা হয়।
13. পার্ক এবং খোলা জায়গা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
14. কবরস্থান এবং শ্মশান রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
15. জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ পত্র তৈরি করা হয়।
16. ঐতিহ্যবাহী স্থান সংরক্ষণ করা হয়।
17. রোগ নিয়ন্ত্রণ, টিকাদান করা হয়।
18. সরকারি সিটি কর্পোরেশন স্কুল ও কলেজ স্থাপন করা হয়।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ১০টি আঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। এই ১০টি আঞ্চলে ৭৫টি প্রশাসনিক ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার আছেন। এছাড়া, এই ১০টি আঞ্চলে মহিলাদের জন্য ২৫টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর আসন রয়েছে।
- আঞ্চল-০১ (১১.৫০৪ বর্গ কি.মি.)
অঞ্চল-০১
- ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়ার্ডের এলাকার নামসমূহ ওয়ার্ডের আয়তন (বর্গ কি.মি.)
- ওয়ার্ড-০১ ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন খিলগাঁও “এ” এবং সি জোন খিলগাঁও কলোনী “সি”ও ০.৮২৫
- ওয়ার্ড-০২ মোহাম্মাদ আনিসুর রহমান গোড়ান ১.১৫১
- ওয়ার্ড-০৩ মোহাম্মাদ মাক্সুদ হোসেন (মহসিন) মেরাদিয়া ১.৯২৭
- ওয়ার্ড-০৪ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন পূর্ব বাসাবো (হোল্ডিং নং- ২৯/১ হতে শেষ), পশ্চিম বাসাবো, উত্তর বাসাবো, দক্ষিণ বাসাবো, উত্তর-পূর্ব বাসাবো, মধ্য বাসাবো, বাসাবো ওহাব কলোনী, মাদার টেক। ০.৯৭৫
- ওয়ার্ড-০৫ লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস মায়াকানন, সবুজবাগ, উত্তর মুগদাপাড়া ডেপুটি কলোনী, আহম্মেদ বাগ, রাজারবাগ উত্তর ও দক্ষিণ, কদমতলা বাসাবো, পূর্ব বাসাবো (হোল্ডিং নং- ১-৫৯)। ১.০১৬
- ওয়ার্ড-০৬ মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি মুগদাপাড়া ০.৫৯১
- ওয়ার্ড-০৮ মোহাম্মাদ সুলতান মিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনী এবং সোনালী ব্যাংক কলোনী, আর. কে মিশন রোড গোপীবাগ, কমলাপুর, মতিঝিল, বি রেলওয়ে ব্যারাক। ০.৯৬৬
- ওয়ার্ড-০৯ আলহাজ্জ এ. কে. এম. মমিনুল হক সাঈদ আরামবাগ, ফকিরাপুল, ফকিরাপুল বাজার এলাকা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, বঙ্গভবন। ১.৩১৫
- ওয়ার্ড-১০ মারুফ আহমেদ মনসুর মতিঝিল কলোনী, (হাসপাতাল জোন, আল হেলাল জোন ও আইডিয়াল জোন), এইচ টাইপ কোয়ার্টার, পোস্টাল কলোনী, টিএন্ডটি কলোনী, বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনী। ০.৩৮
- ওয়ার্ড-১১ মোহাম্মাদ হাদিদুল হক (শামীম) শাহজাহানপুর, শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনী, দক্ষিণ খিলগাঁও, খিলগাঁও বাগিচা, শহীদ বাগ, মোমেনবাগ, আউটার সার্কুলার রোড। ০.৮১২
- ওয়ার্ড-১২ গোলাম আশ্রাফ তালুকদার মালিবাগ বাজার রোড, (মতিঝিল অংশ), মালিবাগ, বকশীবাগ, গুলবাগ, শান্তিবাগ, ইন্দ্রপুরী। ০.৫১১
- ওয়ার্ড-১৩ মোস্তফা জামান চামেলীবাগ ও আমিনবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পুরানা পল্টন জি.পি.ও, বায়তুল মোকাররম স্টেডিয়াম, (সুইমিং পুল, স্পোর্টস কাউন্সিল), আউটার স্টেডিয়াম, বিজয় নগর, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন লাইন, ট্রাফিক পুলিশ ব্যারাক, পুলিশ হাসপাতাল ও সিএন্ডবি মাঠ, শান্তিনগর, শান্তিনগর বাজার এলাকা। ১.০৩৫
- আঞ্চল-০২ (১১.৩৩৬ বর্গ কি.মি.)
অঞ্চল-০২
ওয়ার্ড কমিশনার ওয়ার্ডের এলাকার নামসমূহ ওয়ার্ডের আয়তন (বর্গ কি.মি.)
ওয়ার্ড-১৫ জাকির হোসেন স্বপন ধানমন্ডি আ/এ, রোড নং ১৫ স্টাফ কোয়ার্টার, রোড নং ১৫ পূর্ব রায়ের বাজার ও ঈদগাহ রোড, শেরেবাংলা রোড ও মিতালী রোড, হাজী আফসারুদ্দীন রোড, হাতেমবাগ। ২.৩৪
ওয়ার্ড-১৬ মোহাম্মাদ হোসেন হায়দার হিরু ফ্রী স্কুল স্ট্রিট কাঁঠালবাগান, নর্থরোড, সার্কুলার রোড, গ্রীন কর্ণার, গ্রীন স্কয়ার (গ্রীন রোড), গ্রীন রোড পূর্ব, ওয়েস্ট এন্ড স্ট্রিট (ওয়েস্ট স্ট্রীট), আল আমীন রোড, নর্থ সার্কুলার রোড, ফ্রী স্কুল স্ট্রিট (হাতিরপুল), ক্রিসেন্ট রোড। ০.৬১৮
ওয়ার্ড-১৭ সালাউদ্দিন আহমেদ ঢালী লেক কলাবাগান, গ্রীন রোড পশ্চিম, গ্রীন রোড স্টাফ কোয়ার্টার, তল্লাবাগ, শুক্রাবাদ, সোবহানবাগ। সার্কাস উত্তর ধানমন্ডি ও আবেদ ঢালী রোড, বশির উদ্দিন রোড, উত্তর ধানমন্ডি ০.৭০৩
ওয়ার্ড-১৮ জসিম উদ্দিন আহমেদ নীলক্ষেত বাবুপুরা, সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, আইয়ুব আলী কলোনী রহিম স্কয়ার, বাংলাদেশ- কুয়েত মৈত্রী হল, সেন্ট্রাল রোড, নয়েম নিয়ে বার রোড, কলেজ স্ট্রীট, টি, টি কলেজ, গভঃ ল্যাবরেটরী স্কুল এলাকা এবং ঢাকা কলেজ, সাইন্স ল্যাবরেটরী ষ্টাফ কোয়ার্টার, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, বিডিআর পিলখানা। ১.৮৯৭
ওয়ার্ড-১৯ মোহাম্মাদ মুন্সি কামরুজ্জামান মিন্টু রোড, কাকরাইল, সার্কিট হাউস রোড, সিদ্ধেশ্বরী রোড ও লেন, মগবাজার এলিফ্যান্ট রোড, মগবাজার ইস্পাহানী কলোনী, নিউ ইস্কাটন রোড, ইস্কাটন গার্ডেন রোড, আমিনাবাদ কলোনী ও ইস্টার্ন হাউজিং এ্যাপার্টমেন্ট, বেইলী স্কোয়ার ও বেইলী রোড, বাজে কাকরাইল, ডি,আই,টি কলোনী ও পশ্চিম মালিবাগ। ১.৭৪৪
ওয়ার্ড-২০ মোহাম্মাদ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ রতন সেগুন বাগিচা, তোপখানা রোড, বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ ও রেস্ট হাউজ, টি, বি ক্লিনিক এলাকা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ও আ/এ, হাইকোর্ট স্টাফ কোয়ার্টার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ফুলবাড়ীয়া স্টেশন পূর্ব এলাকা, পশ্চিম ফুলবাড়ীয়া এবং সচিবালয় এলাকা, আব্দুল গণি রোড এবং সচিবালয় স্টাফ কোয়ার্টার, পশ্চিম পুরাতন রেলওয়ে কলোনী, রেলওয়ে হাসপাতাল এলাকা, ইস্টর্ন হাউজিং এবং টয়েনবি সার্কুলার রোড, রমনা গ্রীন হাউজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি এবং আবাসিক এলাকা, নজরুল ইসলাম হল আহসান উল্যাহ হল, তিতুমীর হল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল (ফজলে রাব্বি হল), শেরবাংলা হল (প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়), সোহরাওয়ার্ডী হল (প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়), শহীদুল্লাহ হল (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয), ফজলুল হক হল, ডঃ এম এ রশিদ হল, শহীদ স্মৃতি হল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী হল। ২.০৮২
ওয়ার্ড-২১ এডভোকেট এম এ হামিদ খানের আবাসিক এলাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জহুরুর হক হল, সলিমুল্লাহ হল, স্যার এ, এফ রহমান হল, শামসুন নাহার হল, জগন্নাথ হল, কবি জসিম উদ্দিন হল (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, সূর্য সেন হল, হাজী মোহাম্মদ মহসিন হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হল, ময়মনসিংহ লেন, ময়মনসিংহ রোড, পি, জি ইনস্টিটিউট, জাতীয় জাতীয় যাদুঘর অফিসার্স কোয়ার্টার, পি,জি হাসপাতাল ও কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী, হাবিবুল্লাহ, আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস, রোকোয়া হল, পরিবাগ শাহ সাহেব রোড। ১.৯৫২
- আঞ্চল-০৩ (৮.০৯৮ বর্গ কি.মি.)
- অঞ্চল-০৩ ওয়ার্ড-১৪ কমিশনার মোহাম্মদ সেলিমের এলাকা: বীরবাস কাচড়া, গজমহল রোড, হাজারীবাগ, ট্যানারি এলাকা, জিগাতলা (তিন মাজার), দক্ষিণ সুলতানগঞ্জ, সনাতনগড় (মেনেশ্বর), জিগাতলা স্টাফ কোয়ার্টার, মনেশ্বর (জিগাতলা), শিকারীটোলা, মনেশ্বর (১-৩৬), তল্লাবাগ এবং মিতালী রাস্তার অংশ, চরকঘাটা তল্লাবাগ এবং টালী অফিস রোড, দক্ষিণ মধুবাজার। ১.৩৫১ ওয়ার্ড-২২ কমিশনার হাজী তারিকুল ইসলাম সজীবের এলাকা: মনেশ্বর রোড, মনেশ্বর লেন, বাড্ডানগর লেন, বোরহানপুর লেন কুলাল মহল লেন, কাজীরবাগ লেন, নবীপুর লেন, হাজারীবাগ লেন, হাজারীবাগ রোড, কালু নগর, এনায়েত গঞ্জ, গণকটুলী, ভাংঙ্গী কলোনী, নীলাম্বর সাহা রোড, ভাগলপুর লেন। ১.০৭২ ওয়ার্ড-২৩ কমিশনার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের এলাকা: লালবাগ রোড (হোল্ডিং নং- ১৫৮-২৫৬), মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার থেকে বিডিআর গেট নং-১, কাশ্মীরী টোলা লেন, হোসেন উদ্দীন খান লেন, ডুরি আঙ্গুল লেন, নবাবগঞ্জ রোড, নবাবগঞ্জ লেন, আব্দুল আজিজ লেন, ললিত মোহন দাস লেন, এম, সি রায় রোড, নতুন পল্টন লাইন, পিল খানা রোড, সুবল দাস রোড (হোল্ডিং নং- ৪৭, ৪৮ এবং ৪৯)। ০.৪৭৮ ওয়ার্ড-২৪ কমিশনার মোশারাফ হোসেনের এলাকা: জগন্নাথ সাহা রোড (হোল্ডিং নং- ১১৪-৩১৫), শহীদ নগর, রাজ নারায়ন ধার রোড। ০.৪২৪ ওয়ার্ড-২৫ কমিশনার হাজী মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেনের এলাকা: জগন্নাথ সাহা রোড (হোল্ডিং নং- ১-১১৩), কাজী রিয়াজুদ্দিন রোড, লালবাগ দুর্গ এবং পুষ্পরাজ সাহা রোড, আতশ খান লেন, রাজশ্রী নাথ স্ট্রিট, হরমোহন শীল স্ট্রিট, গঙ্গারাম রাজার লেন, লালবাগ রোড (হোল্ডিং নং- ৪৮-১৫৭ এবং ২৫৭-৩২৫/১), নগর বেলতলী লেন, শেখ সাহেব বাজার, সুবল দাস রোড (হোল্ডিং নং- ৫৭-৪৯)। ০.৩৫৯ ওয়ার্ড-২৬ কমিশনার আলহাজ্জ মো. হাবিবুর রহমান মানিকের এলাকা: আজিমপুর রোড (হোল্ডিং নং- ১-১৭৮), আজিমপুর এস্টেট, পলাশী ব্যারাক পশ্চিম ও দক্ষিণ, ইডেন মহিলা কলেজ হোস্টেল স্টাফ কোয়ার্টার এবং গাহর্স্থ অর্থনীতি কলেজ, বি.সি দাস স্ট্রীট, নীলক্ষেত সরকারি বাজার (আজিমপুর), লালবাগ রোড, (হোল্ডিং নং- ১-৪৭ এবং ১৫৮-১৯৯), ঢাকেশ্বরী রোড। ০.৯২২ ওয়ার্ড-২৭ কমিশনার ওমর-বিন-আব্দাল আজিজের এলাকা: হোসেনি দালান রোড, অরফানেজ রোড, কমল দাহ রোড, নাজিমুদ্দিন রোড (হোল্ডিং নং- ১-১২৪), গির্দা উর্দু রোড, জয়নাগ রোড, বকশীবাজার রোড, বকশীবাজার লেন, আমালাপাাড় সিট রোড, তাতখানা লেন, উমেশ দত্ত রোড, নবাব বাগিচা, নূর ফাতা লেন, পলাশী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। ০.৫১১ ওয়ার্ড-২৮ কমিশনার মো. আনোয়ার পারভেজ বাদলের এলাকা: কে. বি. রুদ্র রোড, উর্দু রোড, গৌড় সুন্দর রাম লেন, হায়দার বকস লেন, খাজে দেওয়ান প্রথম এবং দ্বিতীয় লেন, চক সার্কুলার রোড, আজগর লেন, হরনাথ ঘোষ রোড, হরনাথ ঘোষ লেন, খাজে দল সিং লেন, নন্দ কুমার দত্ত রোড। ০.১৭৮
ওয়ার্ড-২৯: হাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম বাবুল এসব লোকের ঠিকানা শায়েস্তা খান রোড, ইসলাম বাগ, রহমত গঞ্জ লেন, হাজী রহিম বকস লেন, ওয়াটার ওয়ার্কস রোড, হাজী কালু রোড, গণি মিঞার হাট, ফরিয়াপট্রি এবং তাদের আয়তন ০.৪৫৭ বর্গ কিলোমিটার।
ওয়ার্ড-৫৫: মোহাম্মাদ নূরে-আলাম তার ঠিকানা প্রকাশ্যে নেই, এবং তার আয়তন ১.৩৪৯ বর্গ কিলোমিটার।
ওয়ার্ড-৫৬: মোহাম্মাদ হোসেন এর বিশিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি, এবং তার আয়তন ০.৯৯৭ বর্গ কিলোমিটার।
- আঞ্চল-০৪ (৩.৪৯২ বর্গ কি.মি.)
অঞ্চল-০৪
ওয়ার্ড কমিশনার ওয়ার্ডের এলাকার নামসমূহ ওয়ার্ডের আয়তন (বর্গ কি.মি.)
ওয়ার্ড-৩০: মোহাম্মাদ হাসান, ০.৩৪৯ বর্গ কি.মি.
ওয়ার্ড-৩১: মো. রফিকুল ইসলাম রাসেল, ০.৪৬৫ বর্গ কি.মি.
ওয়ার্ড-৩২: মোহাম্মাদ বিল্লাল শাহ, হাকিম হাবিবুর রহমান রোড, রাবার বোস স্ট্রিট, সোয়ারী ঘাট পূর্ব এবং পশ্চিম, রুই হাট্রা, বড় কাটারা, ছোট কাটারা, দেবীদাস ঘাট লেন, কমিটি গঞ্জ, চম্পাতলী লেন, জুম্মম বেপারী লেন, রজনী বোস লেন, রায় ঈশ্বরচন্দ্র শীল বাহাদুর স্ট্রিট, মহিউদ্দিন লেন, জাদব নারায়নদাস লেন, ইমাম গঞ্জ, মেটফোর্ড রোড, ০.২১৫ বর্গ কি.মি.
ওয়ার্ড-৩৩: মোহাম্মাদ আউয়াল হোসেন, মৌলভী বাজার, আজিজুল্লাহ রোড, বেগম বাজার, আবুল হাসনাত রোড, পদ্মলোচন রায় লেন, কে,এম, আজম লেন, নুর বক্স লেন, আলী হোসেন খান রোড, নাবালক মিয়া লেন, আর্মেনীয়াম স্ট্রিট, আবুল খায়রাত রোড, কেদৗর নাথ দে লেন, আগা নওয়াব দেউড়ী, বেচারাম দেউড়ী, হাফিজ উল্লাহ রোড, গোলাম মোস্তফা লেন, ডি,সি, রায় রোড, শরৎচন্দ্র চক্রবর্ত্তী রোড, এ সি রায় রোড, জেলা রোড, দিগু বাবু লেন, মকিম কাটারা, বি কে রায় লেন, সেন্ট্রাল জেল, যোগেন্দ্র নারায়ণ শীল স্ট্রিট, ০.৩১১ বর্গ কি.মি.
ওয়ার্ড-৩৪: মীর সমীর (মুক্তিযোদ্ধা), বংশাল রোড (হোল্ডিং নং- ৪৩/১-১০৮), কে পি ঘোষ স্ট্রিট, কসাইটুলী, গোবিন্দ দাস লেন, সৈয়দ হাসান আলী লেন, পি কে রায় লেন, হাজী আঃ রশিদ লেন, রায় বাহাদুর ঈশ্বর চন্দ্র ঘোষ স্ট্রিট, কাজী জিয়া উদ্দীন রোড, সামসাবাদা লেন, শাহ্জাদা মিয়া লেন, গোপী নাথ দত্ত কবিরাজ স্ট্রিট ও হরনী স্ট্রিট, বাগডাসা লেন, হায়বাৎ নগর লেন শরৎ চক্রবর্তী রোড (হোল্ডিং নং-১৭-১০৩), কাজী মুদ্দিন সিদ্দিকী লেন, আকমল খান রোড, জিন্দাবাহার লেন, জুমবালী লেন, ০.৩৬৭ বর্গ কি.মি.
ওয়ার্ড-৩৫: হাজী মো. আবু সাঈদ, বংশাল রোড (হোল্ডিং নং- ১০৯-২০৭/১), আলী, নেকী দেউরী, আব্দুল হাদী লেন, নবাব কাাটারা, চানখার পুল লেন, আগামসীহ লেন (হোল্ডিং নং- ১-১৫), শিক্কাটুলী লেন, আগা সাদেক রোড, বি কে গাঙ্গুলী লেন, আবুল হাসনাত রোড, ০.১৩৯ বর্গ কি.মি.
ওয়ার্ড-৩৬: রঞ্জন বিশ্বাস, সিদ্দিক বাজার, টেকের হাট লেন, নওয়াবপুর রোড (হোল্ডিং নং- ১৪৪-২২২), হাজী ওসমান গনি রোড (হোল্ডিং নং- ১ হইতে ১৬৫), নাজিরা বাজার লেন, লুৎফর রহমান লেন, কাজী আব্দুল হামিদ লেন, কাজী আলা উদ্দীন রোড, ফুলবাড়ীয়া পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন (কোতোয়ালী অংশ), ০.১৩৫ বর্গ কি.মি.
ওয়ার্ড-৩৭ মো. আ. রহমান মিয়াজী মালিটোলা লেন, মালিটোলা রোড, বংশাল রোড (হোল্ডিং নং- ১-৪২, ২১১-২৬৭), বংশাল লেন, গোলক পাল লেন, আনন্দ মোহন বসাক লেন (বাসাবাড়ী লেন), ভিতরবাড়ী লেন, গোয়াল নগর লেন, ইংলিশ রোড, পুরানা মোগলটুলী, নবাব ইউসুফ রোড, নবাবপুর রোড (হোল্ডিং নং- ২২৬-২৮২), হাজী আব্দুল্লাহ সরকার লেন, ফ্রেঞ্চ রোড, হাজী মইনুদ্দিন রোড, নয়াবাজার সুইপার কলোনী। ০.৪৪৯
ওয়ার্ড-৩৮ আবু আহমেদ মন্নাফী (বীর মুক্তিযোদ্ধা) আশেক লেন, বাধিকা মোহন বসাক লেন, হরি প্রসন্ন মিত্র রোড, সৈয়দ আওলাদ হোসেন লেন, কোর্ট হাউস স্ট্রিট, উচ্ছব পোদ্দার লেন, প্রসন্ন পোদ্দার লেন, রাখাল চন্দ্র বসাক লেন, বাঁশিচরণ সেন পোদ্দার লেন ইসলামপুর (হোল্ডিং নং- ৫৩-১১৭/২/৩), নবরয় লেন, কৈলাশ ঘোষ লেন, শাখারী বাজার (হোল্ডিং নং- ১-৬৫), রাজার দেউরী, জজকোর্ট, ডি, সি কোর্ট ও রায় সাহেব বাজার। ০.৪২৪
ওয়ার্ড-৪২ হাজী মোহাম্মাদ সেলিম আহসান উল্লাহ রোড, কবিরাজ লেন, জি. এল গার্থ লেন, সিমশন রোড, পটুয়াটুলী রোড, ইসলামপুর (হোল্ডিং নং- ১-৫২), পাটুয়াটুলী লেন, কুমারটুলী লেন, লিয়াকত এ্যাভিনিউ, নর্থব্রুক হল রোড (হোল্ডিং নং- ১-৩৮), ওয়াইজ ঘাট, রমাকান্ত নন্দি লেন, লয়াল স্ট্রিট, পি কে রায় রোড (বাংলা বাজার), চিত্তরঞ্জন এ্যাভিনিউ, হকার্স মার্কেট, শাখারী বাজার (হোল্ডিং নং- ৬৬-১৪২)। ০.২৭৪
ওয়ার্ড-৪৩ হাজী মো. আরিফ হোসেন শ্যামা প্রসাদ চৌধুরী লেন, রূপলাল দাস লেন, পাতলাখান লেন, ফরাশগঞ্জ লেন, ফরাশগঞ্জ রোড, উল্টিগঞ্জ লেন, মালাকার টোলা লেন, নর্থ ব্রুক হল রোড (হোল্ডিং নং- ৩৯-শেষ), মদন সাহ্ লেন, ঈশ্বর দাস লেন, হরিশ চন্দ্র বসু স্ট্রিট, প্রতাপ দাস লেন, বি কে দাস রোড, কে জি গুপ্ত লেন, জয়চন্দ্র ঘোষ লেন, প্যারীদাস রোড, গোপাল সাহা লেন, মোহিনী মোহন দাস লেন,পূর্ন চন্দ্র ব্যানার্জি লেন, রূপচান লেন, মুন্সী হরি মোহন দাস লেন, আনন্দ মোহন দাস লেন, শ্রীশ দাস লেন, হেমেন্দ্র দাস লেন, দিবেন্দ্র দাস লেন, শুকলাল দাস লেন। ০.৩৬৪
- আঞ্চল-০৫ (৯.৫২২ বর্গ কি.মি.)
অঞ্চল-০৫
ওয়ার্ড-০৫ (৯.৫২২ বর্গ কি.মি.)
ওয়ার্ড কমিশনার ওয়ার্ডের এলাকার নামসমূহ ওয়ার্ডের আয়তন (বর্গ কি.মি.)
ওয়ার্ড-০৭ মোহাম্মাদ আব্দুল বাসিত খান বাচ্চু মানিক নগর, মানিক নগর মিয়াজান লেন, কাজিরবাগ ০.৪০৩
ওয়ার্ড-৩৯ ময়নুল হক মঞ্জ কে.এম.দাস লেন, অভয়দাস লেন, টয়েনবি সার্কুলার রোড, জয়কালী মন্দির রোড (হোল্ডিং নং- ১৯ হতে শেষ), ভগবতী ব্যানার্জী রোড, ফোল্ডার স্ট্রিট (হোল্ডিং নং- ৯ হতে শেষ), হাটখোলা রোড (হোল্ডিং নং- ২-৪৪/৩), আর. কে. মিশন রোড (হোল্ডিং নং- ১-৯১/১) ০.৬৭২
ওয়ার্ড-৪০ মকবুল ইসলাম খান টিপু দয়াগঞ্জ রোড, দয়াগঞ্জ হাটলেন, দয়াগঞ্জ জেলেপাড়া, নারিন্দা লেন, নারিন্দা রোড (হোল্ডিং নং -৫৪ হতে শেষ), শরৎগুপ্ত রোড, বসু বাজার লেন, মুনির হোসেন লেন, শাহ্ সাহেব লেন, মেথরপট্টি (উত্তর ও দক্ষিণ), গুরুদাস সরকার লেন, করাতিটোলা লেন, স্বামীবাগ লেন (হোল্ডিং নং- ১৯ হতে শেষ), স্বামীবাগ নতুন বস্তি, স্বামীবাগ লেন (হোল্ডিং নং- ১-১৮) ০.৫৪৮
ওয়ার্ড-৪১ সারোয়ার হাসান আলো লালমোহন শাহ্ স্ট্রীট, ভজহরি সাহা স্ট্রিট, দক্ষিণ মসুন্দি, ওয়ারী স্ট্রিট, জয়কালী মন্দির রোড, (হোল্ডিং নং- ১-১৮) নবাব স্ট্রিট, মদন মোহন বসাক রোড, টিপু সুলতান রোড (হোল্ডিং নং- ১৫/৩-৩৭), র্যাংকিন স্ট্রিট, পদ্ম নিধি লেন, হরী স্ট্রিট ল্যান্ড অকসেন লেন, নারিন্দা রোড (হোল্ডিং নং- ১-৫৩), জোরপুল লেন ফোল্ডার স্ট্রিট (হোল্ডিং নং- ১-৪), চণ্ডী চরণ বোস স্ট্রিট, হাটখোলা রোড এ্যান্ড বলধা হাউস (হোল্ডিং নং- ১), লারমিনি স্ট্রিট রাঁধা-শ্যাম সাহা স্ট্রিট। ০.৪৩১
ওয়ার্ড-৪৪ মোহাম্মাদ আব্দুস সাহেদ মন্টু কাঠের পুল লেন (বানিয়া নগর), ঠাকুরদাস লেন, জাস্টিস লালমোহন দাস লেন, ঋষিকোষ দাস রোড, বেগমগঞ্জ লেন, মিউনিসিপ্যাল স্টাফ কোয়ার্টার (বানিয়া নগর), তনুগঞ্জ লেন, ওয়াল্টার রোড, রেবতী মোহন দাস রোড (হোল্ডিং নং- ১-১৭৫) ০.২৭২
ওয়ার্ড-৪৫ আব্দুল কাদির ডিস্টিলারী রোড, দীন নাথ সেন রোড, কেশব ব্যানার্জী রোড (হোল্ডিং নং- ৯২-৯৯), শশীভূষণ চ্যাটার্জী লেন, রজনী চৌধুরী রোড, সাবেক সরাফৎ গঞ্জ লেন, সত্যেন্দ্র কুমার দাস রোড। ০.৫৪৩
ওয়ার্ড-৪৬ মো. শহিদ উল্লাহ মিনু মিল ব্যারাক এ্যান্ড পুলিশ লাইন, কেশব ব্যানার্জী রোড (হোল্ডিং নং- ১-৮৭/২), অক্ষয় দাস লেন, শাঁখারী নগর লেন, হরিচরণ রায় রোড (হোল্ডিং নং- ১-১৪, ৪৯-৫৬), আলমগঞ্জ রোড, ঢালকানগর লেন (হোল্ডিং নং-১-৪৪, ৭১-১০৫), সতীশ সরকার রোড । ০.৫১৪
ওয়ার্ড-৪৭ নাসির আহমেদ ভূঁইয়া লাল মোহন পোদ্দার লেন, পোস্তগোলা; ঢাকা কটন মিলস, হরিচরণ রায় রোড (হোল্ডিং নং- ১৫-৪৮), বাহাদুরপুর লেন, গেন্ডারিয়া রাজউক প্লট ১ এবং ২, নবীন চন্দ্র গোস্বামী রোড, ফরিদাবাদ লেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনী, ঢালকা নগর লেন (হোল্ডিং নং-৪৫-৭০) ০.৫৭৬
ওয়ার্ড-৪৮ মোহাম্মাদ আবুল কালাম (অনু) সায়েদাবাদ, উত্তর যাত্রাবাড়ী ১ এবং ২। ০.৭৬
ওয়ার্ড-৪৯ বাদল সরদার ব্রাহ্মণ চিরণ, ধলপুর। ১.০৮৭
ওয়ার্ড-৫০: মো. দেলোয়ার হোসেন খান, পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, উত্তর-পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, উত্তর যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণ-পূর্ব যাত্রাবাড়ী, ওয়াপদা কলোনী, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী। (0.859)
ওয়ার্ড-৫১: কাজী হাবিবুর রহমান হাবু, মীর হাজারীবাগ, ধোলাই পাড়, গেন্ডারিয়া। (0.657)
ওয়ার্ড-৫২: মোহাম্মাদ নাছি মিয়া, মুরাদপুর- ১ (হোল্ডিং নং- ১-৪৬), মুরাদপুর ২, ৩ এবং ৪। (0.536)
ওয়ার্ড-৫৩: মোহাম্মাদ নূর হোসেন, পশ্চিম জুরাইন মুরাদপুর- ১ (হোল্ডিং নং- ১-৪৬) (0.736)
ওয়ার্ড-৫৪: হাজী মোহাম্মাদ মাসুদ, করিম উল্লারবাগ, নতুন জুরাইন আলম বাগ, পশ্চিম জুরাইন (মাজার এলাকা সহ) (0.928)
ওয়ার্ড-৫৫: হাজী মো: নূর আলম, ঝাউচর, ঝাউলাহাটি, মুন্সিহাটি, হাসান নগর, আবু সাঈদ বাজার, নবীনগর, খোলামোড়া (1.783)
ওয়ার্ড-৫৬: হাজী মোঃ হোসেন, রনী মার্কেট, রসূলপুর, কুড়ারঘাট, ব্যাটারীঘাট, বড়গ্রাম, ইসলামনগর, আলীনগর, মজিবর ঘাট, আচারওয়ালা ঘাট, হুজুরপাড়া, কলেজরোড, মাদ্রাসাপাড়া
ওয়ার্ড-৫৭: হাজী মো. সাইদুল ইসলাম (মাদবর), মাদবর বাজার, পাকাপুল, আশ্রাফাবাদ, নূরবাগ, নিজামবাগ, কয়লাঘাট, থোডা
- ১৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর আসন
টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর আসনের তালিকা:
১. সংরক্ষিত আসন: ২, ৩, ৪, কাউন্সিলর: ফাতেমা আক্তার ডলি, অফিসের ঠিকানা: ২৮৯, উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা-১২১৯
২. সংরক্ষিত আসন: ৫, ৬, ৭, কাউন্সিলর: হোসনে আরা চৌধুরী, অফিসের ঠিকানা: ১৭/২৩/১, মানিকনগর, ঢাকা-১২০৩
৩. সংরক্ষিত আসন: ৮, ৯, ১০, কাউন্সিলর: মিনু রহমান, অফিসের ঠিকানা: ৩৪/৩৫, নয়া পল্টন, পল্টন, ঢাকা (আস্থায়ী)
৪. সংরক্ষিত আসন: ১, ১১, ১২, কাউন্সিলর: ফারহানা ইসলাম ডলি, অফিসের ঠিকানা: ৪৩, খিলগাঁও বাগিচা, শাহজাহানপুর, ঢাকা
৫. সংরক্ষিত আসন: ১৩, ১৯, ২০, কাউন্সিলর: সৈয়াদা রোকসানা ইসলাম চামেলী, অফিসের ঠিকানা: ৯/৫, সেক্রেটারিট রোড, ফুলবাড়িয়া, ঢাকা-১০০০
৬. সংরক্ষিত আসন: ১৬, ১৭, ২১, কাউন্সিলর: নারগিস মাহাতাব, অফিসের ঠিকানা: ২৩৬ (২য় তালা), ফ্রি স্কুল স্ট্রীট, কাঠালবাগান, ধানমন্ডি, ঢাকা
৭. সংরক্ষিত আসন: ১৪, ১৫, ১৮, কাউন্সিলর: মিসেস শিরিন গাফফার, অফিসের ঠিকানা: ৫/২, টালি অফিস রোড, হাজারীবাগ, ঢাকা-১২০৯
৮. সংরক্ষিত আসন: ২২, ২৩, ২৬, কাউন্সিলর: আয়শা মোকাররম, অফিসের ঠিকানা: ৪/১, নিলাম্বর সাহা রোড, হাজারীবাগ, ঢাকা-১২০৫
৯. সংরক্ষিত আসন: ২৪, ২৫, ২৯, কাউন্সিলর: আলেয়া পারভীন রনজু, অফিসের ঠিকানা: ৫১/১, কাজি রিয়াজ উদ্দিন রোড, পোস্তা, লালবাগ, ঢাকা-১২১১
১০. সংরক্ষিত আসন: ২৭, ২৮, ৩০, কাউন্সিলর: সামসুননাহার ভূঁইয়া, অফিসের ঠিকানা: ১৬/১, রজনী বোস লেন, চকবাজার, ঢাকা-১২১১
১১. সংরক্ষিত আসন: ৩১, ৩২, ৩৩, কাউন্সিলর: নাসরিন রশিদ পুতুল, অফিসের ঠিকানা: ঢাকা
১২. সংরক্ষিত আসন: ৩৫, ৩৬, ৩৭, কাউন্সিলর: সুরাইয়া বেগম, অফিসের ঠিকানা: ৪৫/১, বি প্রসন্ন পোদ্দার লেন (তাঁতীবাজার), ঢাকা-১১০০
১৩. সংরক্ষিত আসন: ৩৪, ৩৮, ৪১, কাউন্সিলর: রাশিদা পারভীন (মনি), অফিসের ঠিকানা: ৪৫, লালচাঁন মকিম লেন, ওয়ারী, ঢাকা সদর-১১০০
১৪. সংরক্ষিত আসন: ৩৯, ৪০, ৪৯, কাউন্সিলর: লাভলী চৌধুরী, অফিসের ঠিকানা: ১২, কে এম দাস লেন, ঢাকা-১২০৩
১৫. সংরক্ষিত আসন: ৪৮, ৫০, ৫১, কাউন্সিলর: নাজমা বেগম, অফিসের ঠিকানা: ৩৩০/১, মীরহাজির বাগ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪
১৬. সংরক্ষিত আসন: ৪২, ৪৩, ৪৪, কাউন্সিলর: নাসিমা আহমেদ, অফিসের ঠিকানা: ১, ফরাশগঞ্জ রোড (লালকুঠি), সুত্রাপুর, ঢাকা-১১০০
১৭. সংরক্ষিত আসন: ৪৫, ৪৬, ৪৭, কাউন্সিলর: হেলেন আক্তার, অফিসের ঠিকানা: গেন্ডারিয়া কমিউনিটি সেন্টার (ধূপখোলা মাঠের উত্তর পাশে), গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
১৮. সংরক্ষিত আসন: ৫২, ৫৩, ৫৪, কাউন্সিলর: কালেসা আলম, অফিসের ঠিকানা: ৫১৭, পূর্ব জুরাইন হাজী খোরশেদ আলি সরদার রোড, ফরিদাবাদ, কদমতলী ঢাকা-১২০৪
১৯. সংরক্ষিত আসন: ৫৫, ৫৬, ৫৭, কাউন্সিলর: মোসাঃ শিউলী বেগম, অফিসের ঠিকানা: ২৮, চৌরাস্তা খালপাড় রোড, ঢাকা
প্রশাসনিক ব্যবস্থা
প্রতি ৫ বছর পর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে একজন মেয়র এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে কাউন্সিলর নির্বাচন করা হয়। মেয়র সিটি কর্পোরেশনের কার্যনির্বাহী প্রধান হিসাবে কাজ করেন। বাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের মর্যাদা ৬ষ্ঠ। অনুপস্থিতিতে সিটি কর্পোরেশনে কার্যপরিচালনার জন্য একজন প্রশাসক থাকে। প্রতি ১৮০ দিনের জন্য সরকার কর্তৃক এই প্রশাসক নিয়োক্ত হন। এছাড়াও, মহিলাদের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সংরক্ষিত কমিশনার পদ রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাকে, যিনি সরকার কর্তৃক মনোনিত হন এবং কর্পোরেশনের যাবতীয় কার্যসম্পাদনের নিয়ন্ত্রণ করেন।
নির্বাচিত মেয়র:
প্রতিকৃতি নাম
(জন্ম–মৃত্যু)
নির্বাচন অর্থবিল দল তথ্যসূত্র
পদ গ্রহণ করেন অফিস ছেড়েছে অফিসে সময়
সাঈদ খোকন ২০১৫ ৫ মে ২০১৫ ১৬ মে ২০২০ ৫ বছর, ১১ দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ [৪]
শেখ ফজলে নূর তাপস ২০২০ ১৬ মে ২০২০ বর্তমান ৩ বছর, ২২৬ দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ [৫]
উল্লেখযোগ্য স্থান ও স্থাপনা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান এবং স্থাপনাসমূহ:
আহসান মঞ্জিল:
অবস্থান: ইসলামপুর, কুমারটুলী, পুরান ঢাকা
বর্ণনা: নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ এবং জমিদারীর সদর কাচারি, বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত, নওয়াব আবদুল গনি ও খাজা আহসান উল্লাহ্র প্রতিষ্ঠিত, ১৮৫৯ সালে নির্মাণ শুরু এবং ১৮৭২ সালে সম্পন্ন
মিটফোর্ড হাসপাতাল (১৯০৪):
অবস্থান: ঢাকা
বর্ণনা: বাংলার প্রথম আধুনিক হাসপাতাল, কালেক্টর স্যার রবার্ট মিটফোর্ড এর নামে পরিচিত, ১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত, মহামারী ও কলেরা রোগে ভূক্তভোগীদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে মৃত্যুর পূর্বে ইংল্যান্ডে থাকাবস্থায় স্থানীয় কল্যাণমূলক কাজে অবদান
এই স্থান ও স্থাপনাগুলি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি অংশ, এবং তাদের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক মৌলিকতা বজায় রেখেছে।
লালবাগ কেল্লা:
অবস্থান: বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে, আওরঙ্গবাদ-ঢাকা
বর্ণনা: লালবাগ কেল্লা, ঢাকা, একটি অসমাপ্ত মুঘল দুর্গ, প্রথম বাংলাদেশের শহর আওরঙ্গবাদে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র সুবেদার মুহাম্মদ আজম শাহ দ্বারা ১৬৭৮ সালে শুরু করা হয়। ১৬৮০ সালে উত্তরসুরি ও ১৬৮৪ সালে শায়েস্তা খাঁর কন্যার মৃত্যুর পর নির্মাণকাজ বন্ধ হয় এবং ১৮৪৪ সালে এলাকাটি "আওরঙ্গবাদ" নাম থেকে "লালবাগ" হয়।
রূপলাল হাউস (২০০৮):
অবস্থান: ১৫ নং ফরাশগঞ্জ, পুরান ঢাকা
বর্ণনা: রূপলাল হাউজ, ১৮২৫ সালে আর্মেনীয় জমিদার আরাতুন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ভবন। ১৮৩৫ সালে রূপলাল দাস ও তার ভাই রঘুনাথ দাস বাড়িটি কিনে নেয়। বাড়িটি পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং তারপর থেকে বাড়িটির নাম হয় "রূপলাল হাউজ"। ভবনটি দ্বিতল এবং ৯১.৪৪ মিটার দীর্ঘ। ১৮৮৮ সালে ভারতের ভাইসরয় লর্ড ডাফরিন ঢাকা সফরের সময় এখানে তাঁর সম্মানে একটি নাচ-গানের আয়োজন করা হয়। ভবনের পশ্চিমাংশে একটি আকর্ষণীয় নাচঘর অবস্থিত ছিল এবং এতে ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল রূপলাল হাউসের আধুনিকীকরণে। বিদেশীরা যখন ঢাকায় আসতেন, তারা রূপলাল হাউসে কক্ষ ভাড়া করে থাকতেন এবং সেই যুগে কক্ষপ্রতি ভাড়া ছিল ২০০ টাকা।
হোসেনী দালান (২০১৭):
ঐতিহাসিক স্থাপনা: হোসেনি দালান, এটি মোঘল আমলের একটি প্রাচীন স্থাপনা যা প্রায় ৩০০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এটি মুঘল সম্রাট শাহজাহানের শাসনকালে নির্মিত হয়েছে এবং ইমামবাড়ার দেয়ালের শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, ইমামবাড়ার শীর্ষ সেনাপতি মীর মুরাদ এটি হিজরী ১০৫২ সনে (১৬৪২ খ্রিস্টাব্দ) সৈয়দ মীর মোরাদ কর্তৃক নির্মিত করেছিলেন। ইমারতটি মুহাম্মদের পৌত্র হোসেনের কারবালার প্রান্তরে মৃত্যুবরণে নির্মিত হয়েছিল।
ঐতিহাসিক বিবরণ: ইতিহাসবিদ জেমস টেলরের বইয়ে উল্লেখ রয়েছে যে, ১৮৩২ সালেও এই ইমামবাড়া স্থাপনার অস্তিত্ব ছিল। ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে দুই বার ইমামবাড়ার সংস্কার কাজ হয়েছে, যা এই ঐতিহাসিক স্থাপনার মৌলিকতা বজায় রেখেছে।
নতুন উদ্যোগ: ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে এই ভবনটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল, তবে তারপর খাজা আহসান উল্লাহ তার বৃদ্ধি এবং পুনর্নির্মাণ কাজে বৃহত্তর টাকা ব্যয় করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে একবার এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালে একবার হোসেনি দালানের দক্ষিণে একটি পুকুর পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।
সদরঘাট - সদরঘাট বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ঢাকা শহরে প্রবেশ পথে একটি বৃহত্তর ঘাট। এটি আহসান মঞ্জিলের সম্মুখভাগের একটি কিছুটা বামে অবস্থিত। সদরঘাট বাকল্যাণ্ড বাঁধের কেন্দ্রবিন্দু। ১৮২০ সালের দিকে, সদরঘাটের কাছে পূর্বদিকে ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টর অফিস সহ অন্যান্য বহু অফিস পর্যায়ক্রমে স্থানান্তরিত হয় এবং এর উত্তর দিকের এলাকাগুলো নতুন নগরকেন্দ্র হিসেবে উদ্ভাবিত হয়ে উঠে। এখানে, খুলনা এর মতো দূরবর্তী স্থানে স্টিমারে যাত্রী পরিবহনের জন্য একটি টার্মিনালও রয়েছে। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মোট ৪৫টি নৌযান রুটে চলতে থাকে। এই নদীবন্দর থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের এলাকাগুলো, যেমন, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, মাদারীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, হাতিয়া, বাগেরহাট ইত্যাদি গন্তব্যে লঞ্চ ও স্টিমার চলাচল করে।
একটি দোকানে শাখা তৈরী করা হচ্ছে শাঁখারী বাজারে। শাঁখারীবাজার, ঢাকা, বিখ্যাত ছিল শাঁখারীদের উৎপাদিত শাঁখা জনিত এক এলাকা। এই এলাকায় বাসবাসকারী শাঁখারীদের নামের ভিত্তিতেই এলাকাটির নাম প্রদান করা হয়েছে। শাঁখারীদের প্রধান কাজ হলো শাঁখা তৈরি করা, এবং তাদের এই কাজে সমর্থন হতে তাদের আবাসিক অঞ্চল ছিল শাঁখারী বাজার, যা এখনও বহন করছে ঐ ঐতিহ্য। জেমস ওয়াইজের ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দের বর্ণনা অনুসারে, ঐ সময়ে ঢাকায় ৮৩৫ জন শাঁখারী বসবাস করতেন। ১৭শ-শতাব্দীতে মোঘল শাসনামলে খাঁজনা বিহীন লাখেরাজ জমি প্রদান করে শাঁখারীদেরকে ঢাকা শহরে নিয়ে আসা হয়। শাঁখারীরা এসে যে অঞ্চলে বসবাস শুরু করেছিল তা বর্তমানে পরিচিত শাঁখারী বাজার নামে পরিণত। ১৭শ-শতাব্দীতে মোঘল সুবেদার ইসলাম খাঁর সেনাপতি মির্জা নাথান এর লেখায় শাঁখারী বাজারের উল্লেখ রয়েছে।
বাহাদুর শাহ পার্ক - সদরঘাটের পাশে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক এলাকা, যেখানে বর্তমানে একটি পার্ক প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই স্থানটি অনেকগুলি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। ১৮শ-শতাব্দীর শেষে, ঢাকার আর্মেনীদের বিলিয়ার্ড ক্লাবও এখানে অবস্থিত ছিল। ১৯৫৭ সালের আগে পর্যন্ত, এই পার্কটি ভিক্টোরিয়া পার্ক নামে পরিচিত ছিল। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর, এখানে ইংরেজ শাসকেরা অসংখ্য বিপ্লবী সিপাহিকে ফাঁসি দিয়েছিলেন। তারপর জনগণকে ভয় দেখাতে সিপাহিদের লাশ এনে এই ময়দানে বিভিন্ন গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৫৭ সালে (মতান্তরে ১৯৬১) সিপাহি বিদ্রোহের শতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে এখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে পার্কের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বাহাদুর শাহ পার্ক।
বড় কাটরা - মুঘল আমলের একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ, যা ১৬৪১ খ্রিস্টাব্দে (হিজরী ১০৫৫) সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার নির্দেশে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণ করেন আবুল কাসেম, যিনি মীর-ই-ইমারত নামে পরিচিত ছিলেন। প্রথমে এতে শাহ সুজার বসবাস করা হতে পারে, কিন্তু পরে এটি মুসাফিরখানা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এই ভবিষ্যতে, স্থাপত্য সৌন্দর্যের কারণে বড় কাটরার সুনাম হয়েছিল, তবে বর্তমানে এর ফটকটি ভগ্নাবশেষ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।
১৮১৭ সালে চার্লস ডিওয়েলে অঙ্কিত ছোট কাটার ও এর মসজিদ।
ছোট কাটারা - এটি শায়েস্তা খানের আমলে তৈরি একটি ইমারত। এটি আনুমানিকভাবে ১৬৬৩ - ১৬৬৪ সালে তৈরি হয় এবং ১৬৭১ সালে নির্মাণ শেষ হয়। এটির অবস্থান ছিল বড় কাটারার পূর্বদিকে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে। ১৮১৬ সালে চার্লস ডিওয়েলে অঙ্কিত ছোট কাটারায় এবং এর মসজিদে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৫৭ সালে এখানে ঢাকার প্রথম ইংরেজি স্কুল খোলা হয়।
তারা মসজিদ - এটি পুরানো ঢাকার আরমানিটোলায় অবস্থিত, যেখানে আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত। এই মসজিদটি ১৬শ শতাব্দীর প্রাথমিক দিকে নির্মিত হয়েছিল এবং এর গায়ে সাদা মার্বেলের গম্বুজে নীলরঙা তারায় খচিত হয়েছিল। মসজিদের গায়ে নির্মাণ-তারিখ খোদাই করা হয়নি, তবে জানা যায়, আঠারোো শতকে ঢাকার 'মহল্লা আলে আবু সাঈয়ীদ'-এ (পরে যার নাম আরমানিটোলা হয়) আসেন জমিদার মির্জা গোলাম পীর (মির্জা আহমদ জান)। মির্জা গোলাম পীর এ মসজিদ নির্মাণ করেন। মির্জা সাহেবের মসজিদ হিসেবে এটি তখন বেশ পরিচিতি পায়। ১৮৬০ সালে মারা যান মির্জা গোলাম পীর। পরে, ১৯২৬ সালে, ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। সে সময় জাপানের রঙিন চিনি-টিকরি পদার্থ ব্যবহৃত হয় মসজিদটির মোজাইক কারুকাজে। মসজিদে মোঘল স্থাপত্য শৈলীর প্রভাব রয়েছে।
২০০৭ সালে এ মসজিদের দৃশ্যরূপ।
বিনত বিবির মসজিদ - এটি পুরানো ঢাকার একটি মধ্যযুগীয় মসজিদ, যা নারিন্দা পুলের উত্তর দিকে অবস্থিত। এই মসজিদটির গায়ে উৎকীর্ণ শিলালিপি অনুসারে ৮৬১ হিজরি সালে, অর্থাৎ ১৪৫৭ খ্রিস্টাব্দে সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদ শাহের শাসনামলে মারহামাতের কন্যা মুসাম্মাত বখত বিনত বিবি এটি নির্মাণ করান।
চকবাজার শাহী মসজিদ - এটি পুরানো ঢাকার চকবাজারে অবস্থিত, একটি মোঘল আমলের মসজিদ। এটি ১৬৭৬ খ্রিস্টাব্দে মোঘল সুবেদার শায়েস্তা খান দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল, মসজিদে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে এই ধারণা করা হয়। এই মসজিদটি সম্ভবত বাংলায় উঁচু প্লাটফর্মের উপর নির্মিত প্রাচীনতম ইমারত-স্থাপনা। মসজিদটির আদি গড়নে ছিল তিনটি গম্বুজ।
কর্তালাব খান মসজিদ
করতলব খান মসজিদ - বেগম বাজার এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। এটি নওয়াব দেওয়ান মুর্শিদকুলি খান তার কর্তৃত্বে নির্মিত করেছিলেন। এটি ১৭০১-১৭০৪ সালে নির্মাণ হয়েছিল এবং দেওয়ান মুর্শিদকুলি খানের নামে এর নামকরণ হয়েছিল, তিনি কর্তালাব খান নামেও পরিচিত ছিলেন।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ভিতরে শিব মন্দির
ঢাকেশ্বরী মন্দির - ধারণা করা হয় যে, সেন রাজবংশের রাজা বল্লাল সেন ১২শ শতাব্দীতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে সেই সময়কার নির্মাণশৈলীর সঙ্গে এর স্থাপত্যকলার মিল পাওয়া যায় না বলে অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন। ঢাকার নামকরণ হয়েছে "ঢাকার ঈশ্বরী" অর্থাৎ ঢাকা শহরের রক্ষাকর্ত্রী দেবী হতে। এই মন্দিরটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।
আর্মেনীয় গির্জা - পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন খ্রিষ্টধর্মীয় উপাসনালয়। ১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতকে ঢাকায় অনেক আর্মেনীয় ব্যক্তি আসেন। গীর্জা নির্মাণের আগে ঐ স্থানে একটি আর্মেনীয় কবরস্থান ছিল। এই গির্জার জন্য জমি দান করেন আগা মিনাস ক্যাটচিক। ১৮৮০ সালে আর্থিক অনটনে পড়ে গির্জার ঘণ্টাটি বাজানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে গির্জার ঘড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। গির্জার অঙ্গনে আর্মেনীয়দের কবরস্থান অবস্থিত।
নর্থব্রুক হল (বর্তমানে স্থানীয়ভাবে লালকুঠি নামে পরিচিত) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি প্রাচীন এবং সৌন্দর্যময় স্থাপত্যিক নিদর্শন, যা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ওয়াইজ ঘাটে অবস্থিত। ১৮৭৪ সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল জর্জ ব্যরিং নর্থব্রুক ঢাকা সফরে এলে এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই ভবনটি টাউন হল হিসেবে নির্মাণ করা হয়। এখানে একটি নাট্যালয় রয়েছে। তৎকালিন ঢাকার স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিদের গভর্নর জেনারেল নর্থব্রুকের সম্মানে এই ভবনের নাম দেন নর্থব্রুক হল। ১৯২৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এখানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঢাকা পৌরসভা সংবর্ধনা দেয়। বর্তমানে ভবনটির দায়িত্ব রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
ব্যক্তিত্ব
নবাব আব্দুল গণি (১৮৩০- ১৮৯৬) ছিলেন একজন কাশ্মীরি। তিনি প্রখ্যাত নবাব পরিবারের সদস্য ছিলেন এবং তাদেরকে ঢাকার মানুষ সাধারিত ভাবে নবাব বা খাজা পরিবার হিসেবে চিনতে অভ্যন্তরীণ হিসেবে দেখা হত। নবাব খাজা আহসানউল্লাহ্ ছিলেন তার পুত্র এবং নবাব সলিমুল্লাহ ছিলেন তার নাতি।
নবাব খাজা আহসানুল্লাহ (১৮৪৬- ১৯০১) ঢাকার নবাব ছিলেন।
নবাব খাজা সলিমুল্লাহ বা নবাব সলিমুল্লাহ (জন্ম: জুন ৭, ১৮৭১ - মৃত্যু: জানুয়ারি ১৬, ১৯১৫) ঢাকার নবাব ছিলেন।
শামসুর রাহমান (জন্মঃ অক্টোবর ২৩, ১৯২৯, মাহুতটুলি, ঢাকা - মৃত্যুঃ আগস্ট ১৭, ২০০৬) বাংলাদেশ এবং আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন প্রমিনেন্ট কবি ছিলেন।
আজম খান (জন্ম: ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০; মৃত্যু: ৫ই জুন, ২০১১, সম্মিলিত সামরিকহাসপাতাল - সিএমএইচ, ঢাকা) ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক এবং সংগীতশিল্পী।
আব্দুর রহমান বয়াতী (জন্ম: ১৯৩৯ - মৃত্যু: ১৯ আগস্ট, ২০১৩) বাংলাদেশের একজন প্রসিদ্ধ লোকসঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। তিনি একাধিক জনপ্রিয় লোকগানের শিল্পী, গীতিকার, সুরকার এবং সংগীত পরিচালক ছিলেন।
বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অনেক সুন্দর এবং আদর্শ নগরীর একটি অংশ। এটি একটি নগরীতে আধুনিক ব্যবসায়িক, শিক্ষাগত, এবং আবাসিক বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলছে। অবস্থানটি বিভিন্ন সুবিধাসমৃদ্ধ হোটেল, রেস্তোরাঁ, দোকান, পার্ক, এবং অন্যান্য আধুনিক সেবা সাধারণের জন্য উপযোগী করা হয়ে থাকে। সামাজিক সংবাদ, পরিবারের ব্যবস্থা, এবং প্রকৃতির সাথে সুসজ্জিত হোটেল ও বাড়ির দিকে উন্নত বাস্তুতন্ত্রে এটি পূর্বের থেকেই আগ্রহকর হয়ে থাকে।
Comments
Post a Comment